কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার কয়রা থানার কয়রা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও সদর ইউনিয়ন নায়েব কর্তৃক মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৬নং কয়রা গ্রামের মোঃ আঃ রহমান মোল্লার পুত্র মোঃ রহিম মোল্লা শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এ বলেন আমার পিতা ও আমার ২ চাচার ওয়ারেশ সুত্রে প্রাপ্ত জমি যাহার এসএ খতিয়ান নং ৯১১, আরএস খতিয়ান নং ২৭৪, এসএ ৪৪৯৬, ৪৪৯৮, ৪৪৯৯ দাগে ৩.১৫ একর জমি প্রাপ্ত হইয়া সন সন দাখিলা প্রদান পূর্বক সকলের জ্ঞাতসারে সিজনাল ধান চাষ করিয়া আসিতেছি। প্রতি বছরের ন্যায় বর্তমান বছরেও আমরা আষাঢ় এ জমি চাষ করিয়া ধান রোপণ করিয়া ধান কাটার উপযুক্ত হইলে জনৈক নুর মোহাম্মদ মিথ্যা উক্তিতে আমাদের ক্ষতি করার মানসে বিজ্ঞ উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কয়রাতে একটি ১৪৫ ধারায় মামলা করে যাহার নম্বর এমআর ১২৯/২০২৪
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন উক্ত এমআর মামলা ১২৯/২৪ বিজ্ঞ আদালত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গৌর কুমার মণ্ডলকে নালিশি জমির ফসল নিজ জিম্মায় রেখে দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল ও কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জকে নালিশি সম্পত্তির দখল ভিত্তিক স্থিতিবস্থা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সার্বিক দিক বিবেচনা করিয়া আমাদের পক্ষে রিপোর্ট দাখিল পূর্বক কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ নাজমুচ্ছায়াদাত ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হরেন্দ্র নাথ সরকারকে জিম্মা প্রদান পূর্বক তাদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আমাদের অর্ধেক জমির ধান কাটিতে বলেন এবং বাকি অর্ধেক জমির ধান কেটে নালিশি জমিতে রেখে দেন। সেই থেকে উক্ত ধান নালিশি জমিতে ছিল। কিন্তু কে বা কাহারা উক্ত ধান সরিয়েছে বা নিয়ে গেছে আমরা কিছু জানিনা। কিন্তু কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য গত ইং ১৩/১২/২০২৪ তারিখে আমাদের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন তাদের হেফাজত থেকে নালিশি জমির ধান নিয়ে এসেছি মর্মে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাও একই প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহিন হইতেছে। যাহার কোন ভিত্তি নাই। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর সিআর ৭১৯/২৪। এই ব্যাপারে প্রশাসনসহ সকলের কাছে ন্যায় বিচার চাই।