নাজমুল আহসান, স্টাফ রিপোর্টার
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগড়দাড়ী গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেলের একমাত্র কন্যা নুসরাত জাহান রাহী হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে একুশে নিউজের অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলছে। হত্যার ঘটনার মূল অভিযুক্ত রেজোয়ান কবির (জনি) বর্তমানে জেল হাজতে আছেন এবং অনুসন্ধান টিম বর্তমানে অভিযুক্তের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।
এদিকে, অভিযুক্ত জনি হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে। মিতা বসু, যিনি রাহীর বন্ধু ছিলেন এবং তার বাসায় খেলা করতে ছিল। এমতাবস্থায় মিতা বসুর বাসা থেকে অভিযুক্ত জনি প্রলোভন দেখিয়ে হত্যার স্থান নিয়ে যায়। এ বিষয়টি বান্ধবী মিতা বসু ও মিতা বসুর মা শম্পা বসু নিজ চোখে দেখেন ও শোনেন।হত্যার পর রাহীর ভাসমান লাশ প্রথম দেখতে পান মাওঃ সুলাইমান আজিজির স্ত্রী রাবেয়া বেগম। এরপর, রাহীর লাশ উদ্ধার করেন মাহমুদুল হাসান এবং জনির চাচা, পশু চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম।
আসামি জনির পরিবারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। জনির বড় ভাই রনি, চাচা আনিসুর রহমান, চাচী মোসলেমা বেগম এবং দাদা আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান সবাই এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, জনির অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন।
তবে, আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো যে, জনি ইতিপূর্বে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে সে রাহীকে হত্যা করার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। এই মামলা নং ০৪|২১৬, আশাশুনি থানার অধীনে দায়ের করা হয়েছে, এবং এতে তাকে ধারা ৩০২|২০১|৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি এখন সবার চোখে। একুশে নিউজের অনুসন্ধান টিম পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, যাতে নুসরাত জাহান রাহীর হত্যার সঠিক বিচার নিশ্চিত করা যায়।